ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান, নোমান ও সাজিদের স্পিন জাদু
ক্রীড়া ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২০; আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:১০
অবশেষে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙেছে পাকিস্তান। শান মাসুদের নেতৃত্বে টেস্টে প্রথম জয় পেয়েছে দেশটি। মুলতানে সিরিজ বাঁচানোর টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। এমন জয়ে পাকিস্তান অধিনায়কের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটলেও এই ফরম্যাটের পয়েন্ট টেবিলের হিসেব বলছে, এখনও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাজে অবস্থা দলটির। এমনকি বাংলাদেশেরও নিচে অবস্থান তাদের।
দুই স্পিনার নোমান আলি ও সাজিদ খানের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন পাকিস্তান ৯ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে, যেখানে ম্যাচে ১৯ উইকেট শিকার করেন এই দুই স্পিনার।
মুলতানে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে ইনিংস ও ৪৭ রানে পরাজয়ের পর, পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টে নোমান ও সাজিদকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে। সেই টেস্টে তারা ২০ উইকেট নিয়ে ১৫২ রানে জয় লাভ করে সিরিজে সমতা ফেরায়। শেষ দুটি ম্যাচে নোমান ও সাজিদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে সিরিজটি জিততে সক্ষম হয়।
এটি পাকিস্তানের জন্য দ্বিতীয়বার হার দিয়ে শুরু করার পর তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা। ১৯৯৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হারের পর সিরিজ জয় করেছিল তারা। এছাড়া, ২০২১ সালের পর ঘরের মাঠে এবং ২০১৫ সালের নভেম্বরের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান।
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নামা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ২৪ রান করেছিল। তৃতীয় দিনের শুরুতেই নোমান ব্রুককে আউট করে পাকিস্তানের জন্য ব্রেক-থ্রু এনে দেন, এরপর ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ধসে পড়ে। শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড ৩৭.২ ওভারে ১১২ রানে অলআউট হয়, যা পাকিস্তানের মাটিতে ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন দলীয় রান।
এই ইনিংসে নোমান ৪২ রানে ৬ উইকেট এবং সাজিদ ৬৯ রানে ৪ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের তিন স্পিনার মিলিয়ে ২০ উইকেট শিকার করেন। তিন ম্যাচের পুরো সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনাররা ৭৩ উইকেট নিয়ে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে, যা পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে স্পিনারদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকার।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১১২ রানে গুটিয়ে গেলে পাকিস্তানের জন্য ৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। মাত্র ১৯ বলের মধ্যে ১ উইকেট হারিয়ে জয়লাভ করে পাকিস্তান।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন সৌদ শাকিল, যিনি প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রান করেন। সিরিজ সেরা হয়েছেন সাজিদ খান, যিনি দুই ম্যাচে ৪০১ রানে ১৯ উইকেট নিয়েছেন। এই সিরিজটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় পাকিস্তান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে টেবিলের সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: