শেষ মুহুর্তে ডেম্বেলের গোলে বার্সার জয়
স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২১ ১৯:১৭; আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২১ ২০:০৬

বার্সার আক্রমণের পসরা-কে বার বার রুখে দিচ্ছিলো তাদেরই সাবেক সতির্থ গোলকিপার। শেষ মুহুর্তের গোলে লা লীগার শিরোপা লড়াইয়ে রোমাঞ্চ নিয়ে আসলো বার্সা। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দলের সাথে এখন বার্সার দুরুত্ব ১ পয়েন্টের।
বার্সার নিজেদের মাঠে ভায়াদোলিদের বিপক্ষে জয় আনতে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। পরের সপ্তাহের এল ক্লাসিকোর আগে পূর্ণ পয়েন্ট বার্সার শিবিরে স্বস্তির বাতাস। ২৯ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রোনাল্ড কোম্যানের দল। সমান ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো, আর ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রিয়াল।
নু ক্যাম্পে খেলার শুরতেই বার্সার খেলাটি ছিল খুবই অগোছালো। প্রতি পক্ষের প্রেসিং ফুটবলে বারবারই বার্সার পজিশন হারিয়েছে। অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়েও খেই হারাতে হয়েছে লিওনেল মেসিদের। আবার গোলমুখে শট রাখলেও তাদেরই একসময়কার গোলকিপার জোর্দি মাসিপের সামনে সুবিধা করতে পারেনি বার্সেলোনা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল একই চিত্র।
যদিও এই অর্ধে আক্রমণে কিছুটা গতি পায় বার্সার। কিন্তু দুর্দান্ত ফুটবল খেলা ভায়াদোলিদের আত্মবিশ্বাসী ফুটবলে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। একবার দারুণ সুযোগ এসেছিল ডেম্বেলে ও আতোঁয়া গ্রিজমানের সামনে। মেসির বাড়ানো ডিফেন্সচেড়া চমৎকার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সামনে থাকা গোলকিপারকে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ডেম্বেলে। বল মাসিপের হাতে লেগে ফিরে এলে ফিরতি বলে গ্রিজমান ঝাঁপিয়ে হেড করেন, কিন্তু বল পোস্টে বাতাস লাগিয়ে চলে যায়।
ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় বার্সার, তখনই সৌভাগ্যের মুখ দেখে ভায়াদোলিদ মিডফিল্ডার অস্কার পিয়ানোর লাল কার্ডে। যদিও ডেম্বেলেকে ফাউল করে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখার মতো অপরাধ করেছেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। বার্সেলোনা কিন্তু একজন বেশি নিয়ে খেলার সুবিধা আদায় করতে পারছিল না। নির্ধারিত সময়ের শেষ পথেও যখন গোল আসছিল না, তখন হতাশায় ছেয়ে যায় কাতালানদের ডাগআউটে থাকা সবার মুখ। আর ঠিক সে সময়ই আনন্দের ঝরনাধারা বইয়ে দিলেন ডেম্বেলে।
ফরাসি ফরোয়ার্ড চমৎকার ভলিতে বার্সেলোনাকে এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট। ডান প্রান্ত থেকে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের বাতাসে ভাসানো চিপ রোনান্দ আরাউহো ঠিক মতো হেড করতে না পারলেও বল চলে আসে ফাঁকায় থাকা ডেম্বেলের কাছে, এই ফরোয়ার্ড বাঁ পায়ের বুলেট গতির ভলিতে বল জড়িয়ে দেন জলে।
এত চেষ্টার পর ৯০ মিনিটে গোলে বার্সোলোনার শিবিরে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: