ঢাকা বুধবার, ৭ জুন ২০২৩, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

এই সম্মান ও শ্রদ্ধা আরও আগে প্রাপ্য ছিল : এনায়েতুর রহমান

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে এনএসসির সংবর্ধনা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৩৪; আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৪৪

 

বাফুফে কর্তৃক স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনার দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন ২৭ ডিসেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকা রাখা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার- স্বাধীনতা পুরস্কার পায়নি এখনও। এই আক্ষেপ ঝরে দলটির খেলোয়াড়, কর্মকর্তাসহ আরও অনেকের মুখে। স্বাধীন বাংলা দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রুতিশ্রুতি দিলেন, এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করবেন তিনি।

 

 

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত গঠন ও তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে একঝাঁক স্বাধীনতাকামী ও সাহসী ফুটবলার ও ফুটবল কর্মকর্তা দল গঠন করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ম্যাচ খেলেছিলেন ১৬টি। সেই ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের তহবিলে।

 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে সোমবার মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ফুটবলারদের সংবর্ধনা প্রদান করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের  খেলোয়াড়দের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, এনায়েতুর রহমান খান, শেখ আশরাফ আলী, বিমল কর, ফজলে সাদাইন খোকন, মোহাম্মদ মজিবর রহমান সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এনএসসির দেওয়ার সংবর্ধনায় আপ্লুত স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু।

 

“জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরকারের সংস্থা। সরকারের কোনো সংস্থা থেকে এভাবে কখনো আমরা স্বীকৃতি ও সম্মাননা পাইনি। এই সংবর্ধনা পেয়ে আমার অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে, যা অন্য কোনো জায়গা থেকে সংবর্ধনা পেয়ে হয়নি।"

 

দলের অন্যতম সদস্য এনায়েতুর রহমান খানের কণ্ঠে আক্ষেপও ঝরল। এই সম্মান ও শ্রদ্ধা আরও আগে প্রাপ্য ছিল বলে মনে করেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার।

“স্বাধীনতার ৫০ বছর পর্যন্ত আমাদের এই স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করতে হলো। এটা আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। ৫০ বছর পর আমাদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে, এটা আসলেই একটা গৌরবের ব্যাপার। আমরা এই জাতির স্বাধীনতার সাথে যুক্ত, ফুটবল স্বাধীনতার সাথে যুক্ত, এটা বিশ্বে বিরল ঘটনা। এটাকে আরও বৃহত্তর পরিসরে দাঁড় করানো যেতে পারত কিন্তু তা হয়নি।"

 

 

প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন বলে জানান।

“মহান মুক্তিযুদ্ধে ফুটবলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে তারা বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। একইসাথে তারা অর্থ সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়েছিলেন। আজকে তাদের সংবর্ধনা প্রদানের মাধ্যমে আমরা নিজেরাই সম্মানিত বোধ করছি।”

“স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাবো। এছাড়া যে সংগঠনের হাত ধরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভিত রচিত হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ ক্রীড়া সমিতিকে অচিরেই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে।”

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top