ঢাকা বুধবার, ৭ জুন ২০২৩, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

আইচের সেঞ্চুরি ও নাইমুরের ৫ উইকেট

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশী যুবাদের সিরিজ জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:২৭; আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:৩৪

 

আফগানিস্তান যুবদের বিপক্ষে বাংলাদেশী যুবাদের সিরিজটি নিয়ে ছিল নানা সংকায়। আফগানিস্তানের রাজনৈতিক সমস্যা তার উপর তালেবান সরকারের বিভিন্ন আলোচনায় মুখর ছিল। তবে সব রকম সংকাকে উড়িয়ে দিয়ে আফগানিস্তান যুব দলের বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত হয়েছে। বহুল আলোচিত সিরিজটি দুই ম্যাচ হাতে রেখেই টাইগার যুবারা সিরিজ নিশ্চিত করেছে।

                                          

আফগানিস্তান যুবদের সাথে বাংলাদেশের যুব দলের বোলারদের ছিল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। প্রথম ম্যাচ মাত্র ১৫৪ রানের সম্বলকে পুজি করে ১৬ রানের জয় দিয়ে শুরু করেছিল টাইগার যুবারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও টাইগার যুবাদের ব্যাটিং আশানুরুপ ছিল না, ১০২ রান তাড়া করতেই নেই ৭উইকেট। প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব যায় টাইগার বোলাদের উপর।

 

প্রথম দুই ম্যাচ জয় নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করতে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ অনুদ্ধ-১৯ তুলেছে ২২২ রান। প্রথম দুই ম্যাচের তুলনায় তৃতীয় ম্যাচে টাইগার যুবাদের কিছুট ব্যাটিং উন্নতি দেখা যায় এই ম্যাচে। সেঞ্চুরি করেন আইচ মোল্লা। আর বরাবরের মতো বাংলাদেশের অনুদ্ধ-১৯ এবারো সফল বোলাররা, কিন্তু কিছুটা নিজেকে উজ্জ্বল ভাবে তুলে ধরেন বাঁহাতি স্পিনার নাইমুর রহমান, তিনি মাত্র ১৭ রান দিয়ে আফগানিস্তান যুবাদে ৫উইকেট নিয়ে কোমর ভেঙ্গে দেন। আফগানিস্তান অনুদ্ধ-১৯ দল ২২২ রান তারা করতে নেমে থেমেছে মাত্র ১০১ রানেই।

 

টানা তৃতীয় জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশের যুবারা জিতল ২ ম্যাচ হাতে রেখেই।

 

তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক মেহরব হাসান। তবে ৬ রানের মধ্যেই তাঁরা হারিয়ে ফেলেন ২ উইকেট, ১ রান করা প্রান্তিক নওরোজের পর শূন্য রানে ফেরেন খালিদ হাসান।

 

শুরু ধাক্কাটি ভালই সামলিয়ে নিয়ে মফিজুল ইসলামকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে আইচ যোগ করেন ৬৭ রান, ৯৩ বলে ২৭ রান করে মফিজুল ফিরলে ভাঙে সে জুটি। অধিনায়ক মেহরবের সঙ্গে আইচের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ওঠে ৫৩ রান, যদিও সে জুটিতে মেহরবের অবদান মাত্র ৭। এরপর তাহজিবুল ইসলামের সঙ্গে ৩৩ রানের পর আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে আরও ৪৯ রান তোলেন আইচ।

 

আইচ ফিফটি পূর্ণ করেন ৭৪ বলে। তবে ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে যেতে তাঁর লেগেছে আর ৫০ বল। ফয়সাল খান আহমেদজাইয়ের বলে ফ্লিক করে চার মেরে সেঞ্চুরির মাইলফলকের দেখা পান ডানহাতি আইচ। শেষ পর্যন্ত তাঁর বলেই ক্যাচ তুলে ফেরেন তিনি। ১৩০ বলে ১০৮ রানের ইনিংসে আইচ মেরেছেন ৮টি চারের সঙ্গে ৪টি ছয়। এদিন দলের ৪৮.৬৪ শতাংশ রান একাই করেছেন তিনি। ৪৯তম ওভারে দলীয় ২০২ রানের সময় আইচ ফিরে যান।

 

শেষ মুহুর্ত্বে মামুনের ঝড়ো ইনিংসের কল্যানে ২২২ রানের পুজি পায় বাংলাদেশ অনুদ্ধ-১৯ দল। মামুন ২০ বলে ৩টি ছয় এবং ১টি চারের দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ব্যক্তিগত ৩২ রান করেন।  ১টি চারের সঙ্গে ৩টি ছয় মেরেছেন মামুন। আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আহমেদজাই ৩ উইকেট নিয়েছেন ৩৯ রানে, ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাভিদ জাদরান, ইজহারুলহক নাভিদ ও ইজাজ আহমেদ।

 

২২২ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান অনুদ্ধ-১৯ দল। রান তাড়ায় আফগানিস্তানের যুবারা প্রথম উইকেট হারায় ১৩তম ওভারে। তবে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছে তারা। ১৯তম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর সময়ও তাদের রান ছিল মাত্র ৩৬। সাবাউন বানুরি ও সুলিমান সাফি—দুই আফগান ওপেনারকেই ফিরিয়েছেন অফ স্পিনার আরিফুল ইসলাম।

 

আফগানিস্তান অনুদ্ধ-১৯ দলের অধিনায়ক ইজাজ ও বিলাল সায়েদি জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও ৩২ রানের বড় হয়নি সেটা। পরে এ দুজনকেই ফিরিয়েছেন নাইমুর। পরের দুই উইকেটও নিয়েছেন নাইমুরই—জাহিদুল্লাহ সালিমি ও ইজাজ আহমেদ আহমেদজাইয়ের দুজনই হয়েছেন স্টাম্পড। এরপর ডানহাতি পেসার রিপন মণ্ডল নিয়েছেন ৩ উইকেট। নিজের অষ্টম ওভারে এসে নাভিদকে ক্যাচ বানিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট পেয়েছেন নাইমুর।

 

নাইমুরের (১৭) চেয়ে কম বা সমান রান দিয়ে যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন আর তিনজন—২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিহাদুজ্জামান (৫/১২), ২০০০ সালে নামিবিয়ার বিপক্ষে হান্নান সরকার (৫/১৫), ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ (৫/১৭)।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top