12/08/2024 জোড়া গোল করে ৪৬তম ট্রফি জিতলেন মেসি
সংবাদ প্রতিদিন
৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৫৭
লিওনেল মেসির নেতৃত্বে ইন্টার মায়ামি এক রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৩-২ গোলে কলম্বাস ক্রুকে পরাজিত করে এমএলএস সাপোর্টার্স শিল্ড জয় করেছে। এই শিরোপাটি মেসির ক্যারিয়ারের ৪৬তম ট্রফি, যা তাকে পুরুষ ফুটবলে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় হিসেবে আরও এগিয়ে নেয়।
মেসি প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুটি গোল করেন, এবং দ্বিতীয়ার্ধে লুইস সুয়ারেজ আরও একটি গোল যোগ করেন। ইন্টার মায়ামির গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি সেভ করেন, যা দলের জয় নিশ্চিত করে। এই শিরোপা ইন্টার মায়ামিকে আসন্ন এমএলএস প্লে-অফে হোম-ফিল্ড সুবিধা প্রদান করবে।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই জমে উঠেছিল দারুণ। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচ একপেশে করে ফেলার ইঙ্গিত দিলেন লিওনেল মেসি। প্রতিপক্ষ তবু হাল ছাড়ল না। লড়াই চলল তুমুল। শেষ দিকে ম্যাচে সমতার সুযোগও এলো। কিন্তু পেনাল্টিতে ইন্টার মায়ামিকে রক্ষা করলেন গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার। অর্জনে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে মেসি পেলেন আরেকটি ট্রফির স্বাদ।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে কলম্বাস ক্রুকে হারিয়ে এবারের সাপোর্টার্স শিল্ড জিতে নিল ইন্টার মায়ামি। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে এই ম্যাচে মেসিরা জেতেন ৩-২ ব্যবধানে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুটি গোল করে মায়ামির জয়ের নায়ক মেসি। মায়ামির আরেক তারকা লুইস সুয়ারেস করেন দলের অন্য গোলটি। গোলবারে মায়ামির বরাবরের ভরসা ক্যালেন্ডার আরও একবার বড় অবদান রাখেন দলের জয়ে।
ইউরোপের ক্লাব ফুটবল মাতানোর পাশাপাশি বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা রাঙানো মেসির ঝলমলে ক্যারিয়ারের ৪৬তম ট্রফি এটি।
ম্যাচের অস্টম মিনিটেই মায়ামির জালে বল পাঠায় কলম্বাস ক্রু। তবে অফসাইডের জন্য গোল হয়নি। ২৪তম মিনিটে একইরকম অভিজ্ঞতা হয় মায়ামির। এবার তারা বল জালে পাঠালেও গোল হয়নি ফাউলের জন্য।
৪৫তম মিনিটে মাঝমাঠের কাছকাছি নিজদের অর্ধ থেকেই বিশাল লম্বা করে উঁচু বল বাড়িয়ে দেন জর্দি আলবা। কলম্বাস ক্রুর বক্সের কাছাকাছি সেটা বুক দিয়ে নামান মেসি। প্রতিপক্ষে দুই ডিফেন্ডারের মধ্য দিয়ে বল করে এগিয়ে যান তিনি বক্সের ভেতর। এরপর আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে আলতো টোকায় বল পাঠিয়ে দেন জালে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে কলম্বাসের বক্সের একটু বাইরে ফ্রি কিক পায় মায়ামি। সামনের মানব দেয়ালে পাশ দিয়ে নিখুঁত বাঁকানো শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন মেসি। গোলকিপারের তাকিয়ে দেখা ছাড়া করার বেশি কিছু ছিল না। ধারাভাষ্যকারের চিৎকার, “চোখের পলকে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিলেন মেসি।”
যদিও ম্যাচের উত্তেজনা সেখানেই শেষ হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটি গোল শোধ করে দেয় কলম্বাস। তবে এর মিনিট দুয়েক পরই গোলকিপারের ভুলে আবার দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। উঁচু হয়ে আসা আপাত সহজ একটি বল ধরতে গিয়ে হাত থেকে ফসকে যায় কলম্বাস গোলকিপারের। কাছেই থাকা সুয়ারেস হেড করে গোল করতে সময় নেননি একটুও।
কলম্বাস লড়াই চালিয়ে যায় তবু। ৬১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান আবার কমায় তারা। তবে ৬৩তম মিনিটে ডিফেন্ডার রুডি কামাচো লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়ায় বড় ধাক্কা খেতে হয় তাদের।
তারপরও উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে ম্যাচে ফেরার সুযোগ তারা পেয়েছিল। ৮৪তম মিনিটে পেনাল্টি পায় তারা। কিন্তু মায়ামি গোলকিপার ক্যালেন্ডার ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন শট। এরপর আর নাটকীয় কিছু হয়নি ম্যাচে। ৯০ মিনিট শেষে ১০ মিনিট যোগ করা সময়েও আর গোল হয়নি।
৩২ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে সাপোর্টার্স শিল্ড নিশ্চিত করে মায়ামি। ২০২০ সালে মেজর লিগ সকারে যাত্রা শুরুর পর এই টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম ট্রফি এটি, সব মিলিয়ে দ্বিতীয়।
মেজর লিগ সকারে দুটি মূল ট্রফির একটি এই সাপোর্টার্স শিল্ড। আরেকটি হলো এমএলএস কাপ। নিয়মিত মৌসুমে ৩৪ ম্যাচজুড়ে সামগ্রিক পারফরম্যান্সে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল পায় এই সাপোর্টার্স শিল্ড। ১৬টি ভিন্ন দল এখনও পর্যন্ত জিতেছে এই ট্রফি।