ম্যাচের প্রথম ৮মিনিটেই মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১২মিনিটে জিওভানি লো সেলেসোর ক্রসে মার্তিনেসের শটও গোলপোষ্টের ঠিকানা খুজে পায়নি। আর নিকোলাস গনসালেসের নিশ্চিত গোলটি অসাধারণ দক্ষ্যতায় রুখে দেন চিলিয়ান গোলরক্ষক ব্রাভো।

৩৩তম মিনিটে গোলের অপেক্ষা ফুরায় আর্জেন্টিনার। বল রক্ষণপ্রাচীরের ওপর দিয়ে সামান্য বাঁক খেয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয় মেসির ফ্রি কিক। ঝাঁপিয়ে বলে হাত লাগালেও এবার রুখতে পারেননি ব্রাভো। অথচ প্রথমার্ধে কোনো শটই লক্ষ্যে রাখতে পারেনি চিলি!
দ্বিতীয়ার্ধে সমতার স্বস্তি ফেরায় চিলি। ৫৭তম আর্তুরো ভিদালকে ডি-বক্সে নিকোলাস তাগলিয়াফিকো ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ইন্টার মিলানের এই মিডফিল্ডারের নেওয়া স্পট কিক ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। তবে বল ক্রসবারে লেগে ফেরার পর হেডে জালে পাঠান ভার্গাস।

পিছিয়ে পড়েও পয়েন্ট পাওয়া খুশি চিলির, হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ছেন আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি।
এর পরও আর্জেন্টিনার সামনে সুযোগ এসেছিল জয়ের। কিন্তু সুযোগ নষ্টের ভিড়ে হারিয়ে যায় তা। ৭১তম মিনিটে মেসির শট ফেরান ব্রাভো, আট মিনিট পর গনসালেসের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনাকে। মেসি ম্যাচ শেষে জানালেন জিততে না পারার কারণ।

“এই ড্র চিলিকে শান্তি দিয়েছে। তারা বল পায়ে রাখতে শুরু করেছিল আমরা সেটা নিজেদের করে নিতে পারিনি। ম্যাচটা এখানেই জটিল হয়ে গেছে।”
“আমাদের স্থিরতার কমতি ছিল। যখন এগিয়ে গেলাম, তখনও স্থির হাতে পারিনি। মাঠ আসলেই খুব বেশি সাহায্য করেনি। বলের নিয়ন্ত্রণ এবং গতিময় খেলার ক্ষেত্রেও ঘাটতি ছিল আমাদের। যে কারণে ড্র হয়েছে।”