ঢাকা রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও রাজপথে আন্দোলন করবো : মির্জা ফখরুল

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:২০; আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪০

 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যৌক্তিক সময় মানে অনেক বেশি সময় না। যত দ্রুত নির্বাচন করা যাবে, ততোই দেশের মঙ্গল হবে।

তিনি বলেন, অতিদ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও রাজপথে আন্দোলন করবো।’

আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ্র স্মরণসভায় গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোনো রকম তালবাহানা সহ্য করা হবে না। সকল মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তারেক রহমানকে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কখনও নিরপেক্ষ অবস্থা তৈরি হবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হাসিনা পালালেও সংকট কাটেনি। মানুষ বিশ্বাস করে, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখনও নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে। চক্রান্ত করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। হিন্দুভাইরা এ দেশের নাগরিক। নিশ্চয়তা দিচ্ছি, যেকোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করার পর দম ফেলার সুযোগ পেয়েছেন। এই সুযোগ একদিনে তৈরি হয়নি। তারা গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা প্রশাসন, বিচার বিভাগ, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সবকিছু কুক্ষিগত করেছিল। শেখ হাসিনা সরকার ভেবেছিল, সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে। অত্যাচর-নিপীড়ন করে ক্ষমতা ধরে রেখে সম্পদের পাহাড় গড়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।’

তিনি বলেন, ‘যারা একদিন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিল, তারাই এখন দুর্নীতির দায়ে কারাগারে যাচ্ছে।

গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন হান্নান শাহর ছোট ছেলে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান, ডা. মাজহারুল আলম, ওমর ফারুক শাফিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর আগে ব্রিগে. জেনারেল (অব:) হান্নান শাহর কবর জিয়ারত করেন।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top