ঢাকা রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে এবার জামায়াতে ইসলামীর ‘রিভিউ’ আবেদন

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:১৯; আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৬

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে ‘রিভিউ’ আবেদন করেছে। জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানিয়েছেন যে, দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে এই আবেদনটি দায়ের করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য এ আবেদনটি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে একই রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিভিউ আবেদনের শুনানি আগামীকাল ২৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে অনুষ্ঠিত হবে। চেম্বার কোর্ট গত ২০ অক্টোবর এই শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ১৬ অক্টোবর এই রিভিউ আবেদনটি করেন। এ ছাড়াও, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারও ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে গত আগস্ট মাসে রিভিউ আবেদন করেন।

বিএনপির রিভিউ আবেদনে মোট ১০টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। বিএনপির আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন জানিয়েছেন, তাদের যুক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সংক্ষিপ্ত রায়ের পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ রায় থেকে কিছু বিষয় বাদ দেওয়া এবং তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের অবসরের ১৮ মাস পর রায় প্রকাশ করা। তাদের মতে, এটি একটি বিচার বিভাগীয় প্রতারণা, এবং এ বিষয়ে একটি ফৌজদারি মামলাও চলছে।

বিএনপি যুক্তি দিয়েছে যে, গণতন্ত্র এবং সুষ্ঠু নির্বাচন একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক স্তম্ভ ধ্বংস করা হয়েছে। তারা আরও বলে, সংবিধান একটি জীবন্ত দলিল, যা সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে হবে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।

১৯৯৬ সালে সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়, এবং এই সংশোধনীর অধীনে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশংসিত হয়েছিল। যদিও ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেয়, এরপর অনুষ্ঠিত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং সুষ্ঠুতা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top