আইজিপি বলেন, “করোনাভাইরাস বিষয়ক সরকারি নির্দেশনা সোমবার থেকে কার্যকর করতে হবে। এ সময় বলপ্রয়োগ করা যাবে না বরং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।“ পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বেনজির আহমেদ করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গতবছরের ১৮ দফা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ বছরের ১১ দফা নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সংক্রমণ ঠেকাতে গতবছর যেভাবে খোলা বা উন্মুক্ত স্থানে বাজার বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল বর্তমান বাস্তবতায় এবারও তাই করার নির্দেশনা দেন তিনি। তিনি বলেন, দোকানপাটে পূর্ণাঙ্গরূপে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে তিনি কর্মকতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রয়োজনে তাদের অবস্থান স্থল চিহ্নিত করতে হবে।
জরুরি সেবা, শিল্প কারখানা, গার্মেন্টস ও পণ্য পরিবহণকারী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে উল্লেখ করে তিনি পুলিশ সদস্যদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
আইজিপি বলেন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগী ও মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই সুরক্ষা সামগ্রী পরতে হবে।
পুলিশের সব স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে 'নো মাস্ক নো এন্ট্রি' নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতেও পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, গত বছরের মার্চ মাসে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তা প্রতিরোধে পুলিশ জনগণের পাশে থেকে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মানবিক পুলিশে পরিণত হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলাতেও পুলিশসহ সবাই মিলে সরকারি আদেশ বাস্তবায়নের সংক্রমণের বিস্তার রোধে সবাই সচেষ্ট থাকবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: