পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক: অতিরিক্ত আইজিপি
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২১ ০৪:০৯; আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৩৩

পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। সাংবাদিকরা বিভিন্ন ঘটনা তুলে আনেন।
এর মাধ্যমে অপরাধ দমনে পুলিশ ভূমিকা রাখতে পারে’- বলছিলেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এম খুরশীদ হোসেন। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ক্র্যাব বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ও কার্যনির্বাহী কমিটির বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ‘আমি অনেক ঘটনার সাক্ষী। সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমরা অনেক তথ্য আমরা পেয়ে থাকি, যা আমার অফিসের কোনও সদস্য কিংবা কর্মকর্তা দিতে পারেন না।’
এম খুরশীদ হোসেন উল্লেখ করেন, ‘অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশের পারস্পরিক ও পেশাগত দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে।
পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে গণমাধ্যমকে তথ্য সরবরাহের জন্য আলাদা শাখা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্য পাচ্ছেন। আমরা পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকবান্ধব।’
অতিরিক্ত আইজিপির মন্তব্য, ‘পুলিশ কমিউনিটি সমাজের একটি অংশ। আমাদের কোনও কোনও সদস্যের ব্যক্তিগত বিচ্যুতি থাকতে পারে। এ ধরনের ঘটনায় আমরা কাউকে ছাড় দেই না। পুলিশের নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক সমালোচনা আশা করি, যা আমাদের দায়িত্ব পালনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
২০২০ সালে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার জন্য ৪টি এবং টেলিভিশন ও রেডিও মিডিয়ার জন্য ৪টিসহ মোট ৮টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পুরস্কারের মূল্য ৩০ হাজার টাকা।
এবার আটটি শাখায় ক্র্যাব বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পেয়েছেন ৮ সাংবাদিক। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিরিক্ত আইজিপি। সবশেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জুরি বোর্ডে ছিলেন জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি শংকর কুমার দে, প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি কামরুল হাসান এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক কাজী এম আনিসুল ইসলাম।
ক্র্যাব বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ বিজয়ী ও অতিথিরা
পুরস্কার বিজয়ীরা
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন-১ (প্রিন্ট ও অনলাইন): আজকের পত্রিকার আয়নাল হোসেন (শেয়ার বিজ)
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন-২ (টেলিভিশন ও রেডিও): যমুনা টিভির সাজ্জাদ পারভেজ ও ইমতিয়াজ মোমিন সনি (নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম)
মাদক বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন-১ (প্রিন্ট/অনলাইন): ডেইলি স্টারের জামিল খান
মাদক বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন-২ (টেলিভিশন/রেডিও): যমুনা টিভির সাজ্জাদ পারভেজ
নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদন-১ (প্রিন্ট/অনলাইন): দৈনিক ইত্তেফাকের সমীর কুমার দে
নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদন-২ (টেলিভিশন/রেডিও): ৭১ টিভির নাদিয়া শারমিন
মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন-১ (প্রিন্ট/অনলাইন): ডেইলি স্টারের মো. রাফিউল ইসলাম
মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন-২ (টেলিভিশন/রেডিও): এনটিভির সফিক শাহীন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: