ঢাকা রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বইমেলায় উপচেপড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪১; আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:০২

বইমেলা গড়িয়েছে ১৬তম দিনে। এরমধ্যে আজ মেলার তৃতীয় শুক্রবার। ছুটির দিন হওয়ায় পাঠক-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। ফলে বেড়েছে বই বেচাকেনা। এমন সাড়ায় উচ্ছ্বসিত বিক্রয়কর্মীরাও।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের ভিড়। বই কেনার জন্য কোনো কোনো স্টলে তো লাইন ধরতে দেখা গেছে।

সময় প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী রিয়াজ বলেন, জুমার নামাজের আগে তেমন বিক্রি হয়নি। তবে দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়েছে ভালো। আজ মেট্রোরেল না থাকলেও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল অকল্পনীয়।

নালন্দা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সানজিদা সুলতানা  বলেন, প্রতিদিন ভিড় হয়। তবে আজ বেচাকেনা বেশি। অনেকেই এসে এক সঙ্গে ১০-২০টা করে উপন্যাস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ উপহারের জন্য, কেউবা তাদের ক্লাব বা পাঠাগারের জন্য।

জার্নিম্যান বুক্সের বিক্রয়কর্মী জুনায়েদ বলেন, এ কয়েকদিন পাঠকের চেয়ে দর্শনার্থী বেশি ছিল। সবাই সেলফি তুলে চলে যেত। তবে এখন অধিকাংশই পাঠক, সবাই বই কেনার উদ্দেশ্যেই আসছেন। আমাদের ৮০ শতাংশ বই নন-ফিকশন। পাঠকও নির্দিষ্ট।

জার্নিম্যান বুক্সের প্রকাশক তারিক সুজান বলেন, ১০ বছর থেকে মেলায় স্টল দিয়ে আসছি। আমরা সবসময় বইয়ে বৈচিত্র্য রেখেই চলছি। পাঠকের ভালো সাড়া পাচ্ছি। অনুবাদের বই আছে, সেগুলোতে আগ্রহ বেশি পাঠকের।

তিনি বলেন, এবার মেলায় দর্শনার্থীদের অনেক ভিড়। এর ভালো-খারাপ দুই দিকই আছে। যারা প্রকৃত ক্রেতা তারা সবসময় বুঝেশুনে বই কেনেন। অনেক সময় দেখতে পাই ভিড়ের কারণে প্রকৃত পাঠক স্টলে আসতে পারেন না। এরমধ্যে দর্শনার্থীরা এসে বই উল্টিয়ে ছবি তুলে চলে যান।

এবছর বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি এবং বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটিসহ মোট ৩৭ প্যাভিলিয়ন রয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top