সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকার কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, হোটেল রেস্তোরাঁ থেকে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে আমাদের হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে সীমিত রেখেছি। মহামারি করোনাভাইরাসের আঘাতে যেসব সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এরমধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এখানে উল্লেখ্য, সব বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলা শহর মিলিয়ে দেশে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬০ হাজার। আর শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ৩০ লাখ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ খাতে মোট নির্ভরশীলদের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যানারে হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের পক্ষে সরকারের কাছে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেওয়া হলো। এরমধ্যে আছ—স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল রেস্তোরাঁ তার স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী খোলা রাখতে চাই।
তাও যদি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু করতে চাই। হোটেল রেস্তোরাঁ খাতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নগদ অর্থ অথবা নির্দিষ্ট কার্ড প্রদানের মাধ্যমে মাসিক ভিত্তিতে খাদ্য সাহায্য প্রদান করা যেতে পারে।’
‘হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে চলমান রাখার জন্য রানিং ক্যাপিটাল হিসেবে এসএমই খাত থেকে বিনা সুদে, অথবা স্বল্প সুদে জামানতবিহীন এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করা, করোনাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল সারচার্জ ছাড়াই প্রদান করতে সময় চাই, যেহেতু ঢাকা শহরসহ বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা শহরে শতকরা ৯৮ শতাংশ ভাড়াটিয়া হিসেবে হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন—সেহেতু ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে জমিদার/স্থাপনার মালিক/বাড়িওয়ালাদের সহনীয় আচরণ/দেরিতে ভাড়া গ্রহণ/ভাড়া মওকুফ করার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা ও সহযোগিতা চাই।’
‘যেহেতু রেস্তোরাঁ খাতটি একটি সেবা খাত, সেহেতু হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক ও শ্রমিকদের করোনা যোদ্ধা ও ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে ঘোষণা চাই।
কর্মরত মালিক-শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদান করার নির্দেশনা চাই, চলমান করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগের মধ্যেও ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ের নিমিত্তে হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ওপর চরম অসহনীয় আচরণ করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বর্তমানে চালুকৃত টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হোটেল-রেস্তোরাঁর অনুপাতে মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ।
আমরা মনে করি, বর্তমানে শুধু অনলাইন ডেলিভারির সুযোগ দিয়ে রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার ঘোষণাটি দুরভিসন্ধিমূলক। এখানে দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহলের হাত রয়েছে।’
সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আপাতত এই দাবিগুলো আমরা সরকারের কাছে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনয়ের সঙ্গে পেশ করছি। প্রধানমন্ত্রী, দয়া করে হোটেল রেস্তোরাঁ সেক্টরকে বাঁচান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: