ঢাকা বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১

এই সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপে আমরা নিবিড়ভাবে খেয়াল রাখব : জোসেফ বোরেল

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২৪ ১৭:০৩; আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৭

 

“আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে হত্যা, সহিংসতা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার এবং সম্পত্তির ক্ষতিতেও আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” 

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় সব প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে সরকারের পদক্ষেপে চোখ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিহত হওয়া এবং সম্পদ ধ্বংসের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, “সব কর্মকাণ্ডের অবশ্যই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হতে হবে এবং যারা দায়ী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা জুলাই মাসের শুরু থেকে ফের আন্দোলনে নামে। ধীরে ধীরে তাদের আন্দোলনের মাত্রা ও ব্যপ্তি বাড়তে থাকে।

১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘাতের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। পরদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুর থেকে ৬ জনের মৃত্যুর খবর আসে। এর প্রতিক্রিয়ায় ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা হয়, সেদিন মাঠে নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও। বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় সম্পদে হামলা শুরু হয়। প্রাণহানির সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

রামপুরায় বিটিভি ভবন, মেট্ররেলের দুটি স্টেশন, বনানীতে সেতু ভবন, মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট।

“এই সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারের পদক্ষেপে আমরা নিবিড়ভাবে খেয়াল রাখব এবং ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্কের মৌলিক বিষয়াবলিকে মাথায় রেখে আমরা প্রত্যাশা করি, সব ধরনের মানবাধিকারকে পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হবে।”

গত ২৭ জুলাই লাওসে আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে বাংলাদেশ সরকারের ‘দেখামাত্র গুলির নীতি’ ঘোষণা এবং বেআইনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।

“আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে হত্যা, সহিংসতা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার এবং সম্পত্তির ক্ষতিতেও আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন,” বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top