নোভার জোড়া গোলে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়
ক্রীড়া ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২২ ২২:৩৮; আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ ২২:৫০

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুই ম্যাচ জিতল পল থমাস স্মলির দল। প্রথম ম্যাচ শ্রীলংকার বিপক্ষের জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল বাংলাদেশের যুবাদের। আগের আসরে ভারতের বিপক্ষে হারের ক্ষতটি মুছে ফেলার জন্য এই ম্যাচে জয়ের জন্য মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। পিয়াস আহমেদ নোভার জোড়া গোলে চাওয়া পূরণ হলো বাংলাদেশের। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুই জয় পেল পল থমাস স্মলির দল।
জয় নিয়ে অনূর্ধ্ব ২০ দলের সহকারী কোচ মোঃ রাশেদ আহম্মেদ বলেন, আমাদের ছেলেরা খুবই পরিশ্রম করেছে, তারই ফল তারা মাঠে পাচ্ছে। গত আসরে ভারতের সাথে পরাজয়টির ছেলেদের মধ্যে জয়ের আকাঙ্খাটি আরো তীব্র করেছে। আমি বিশ্বাস করি ছেলেরা আগামী ম্যাচগুলো ভালো ফলাফল উপহার দিয়ে দেশকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।
প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ঘুরে দাঁড়াতে সময় নিল না ভারত। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবারও গোল পেলেন পিয়াস আহমেদ নোভা। দ্বিতীয়ার্ধেও রক্ষণ আগলে পাল্টা আক্রমণের ছকেই থাকল বাংলাদেশ।
ভুবনেশ্বরের কালিংগা স্টেডিয়ামে বুধবার সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। জোড়া গোলে দলের জয়ের নায়ক পিয়াস।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতা বাংলাদেশ পেল টানা দ্বিতীয় জয়। ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ দলের রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির এই আসরের টেবিলে শীর্ষে উঠেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের নিয়ে হওয়া এই আসরে ভারতের কাছে ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ।
অষ্টম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে সুযোগ পায় বাংলাদেশ। সতীর্থের লং পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন পিয়াস আহমেদ, আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে চিপও করেন, কিন্তু বল গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার পর পোস্টে লাগে। নিশ্চিত গোল মনে করে উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পিয়াস! ফিরতি বলে টোকা দেওয়ারও কেউ ছিল না সেখানে।
১৭তম মিনিটে আবারও সুযোগ তৈরি করেন পিয়াস। ডিফেন্ডারদের ছিটকে দিয়ে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে পোস্ট ছেড়ে বক্সের মাথায় উঠে আসা গোলরক্ষককে কাটান তিনি। কিন্তু নিজে শট না নিয়ে গোলমুখে বল বাড়ান। সেই সুযোগে বিপদমুক্ত করেন ডিফেন্ডাররা।
একটু পর ভারতের গুরকিরাত সিংয়ের প্লেসিং শট অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়। শুরুর দিকে ভারতের এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট আটকে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ।
ভারতের রক্ষণের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে উঁচু হয়ে আসা বল এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে পারেননি। বল তার পায়ে লেগে উঠে যায় উপরে। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলরক্ষকও। পিয়াস বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেখে-শুনে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন।
এর পরপরই সমতা টানে ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা। সতীর্থের ক্রসে বক্সে বেশ খানিকটা লাফিয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন গুরকিরাত। গোলরক্ষক আসিফের কিছুই করার ছিল না।
অর্ধের শেষ দিকে রাজেশ গিরির জোরাল শট ফেরান আসিফ। বাংলাদেশের রফিকুল ইসলামের শট উপরের জাল কাঁপায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে স্পট কিক থেকে পিয়াস ফের দলকে এগিয়ে নেন। বক্সে এই ফরোয়ার্ডই ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
৫৯তম মিনিটে মোহাম্মাদ নাহিয়ান চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যান, বদলি নামেন জুম্মন নিঝুম। ৬৬তম মিনিটে মঈনুল ইসলাম মঈনকে তুলে নিয়ে মজিবর রহমান জনিকে নামান কোচ পল থমাস স্মলি। এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ রক্ষণ জমাট রাখতে মনোযোগী হয় আরও।
আগামী শুক্রবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২০১৫ ও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটি এবার যাত্রা শুরু করেছে মালদ্বীপকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: