মোসাদ সদরদপ্তর লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর রকেট হামলার দাবি
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৮; আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৫
মোসাদের সদরদপ্তর লক্ষ্য করে রকেট হামলার দাবি হিজবুল্লাহর। এই প্রথমবারের মতো হিজবুল্লাহর একটি রকেট ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবের কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদরদপ্তর লক্ষ্য করে তারা একটি রকেট ছুড়েছে বলে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে।
বুধবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, লেবানন থেকে ছোড়া একটি স্থল থেকে স্থলে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করছে এমনটি শনাক্ত হওয়ার পর বিমান প্রতিরক্ষা পদ্ধতি সেটিকে বাধা দিয়েছে।
রয়টার্স জানায়, এ সময় ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা কারও হতাহত হওয়ার খবর হয়নি। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই প্রথমবারের মতো হিজবুল্লাহর একটি রকেট তেল আবিবের কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়।
তারপরও এ ঘটনায় ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে বেসামরিক প্রতিরক্ষা নির্দেশনায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলীয় শহর নেতানিয়াসহ অন্য এলাকাগুলোতেও সতর্কতামূলক সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে।
এদিন ইসরায়েলের গ্যালিলি হ্রদের দক্ষিণে সিরিয়া থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করা একটি ড্রোন ধ্বংস করেছে দেশটির যুদ্ধবিমানগুলো।
হিজবুল্লাহ তাদের শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করার জন্য ও তাদের সদস্যদের ব্যবহার করা যোগাযোগ যন্ত্রগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য মোসাদকে দায়ী করেছে। তাই গোষ্ঠীটি মোসাদের সদরদপ্তরে হামলার চেষ্টা করছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে দেশটির সেনা অবস্থানগুলোতে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলও ধারাবাহিকভাবে এর জবাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে লেবাননে হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি এলাকাগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এসব হামলায় অন্তত ৫৬৯ জন নিহত ও ১৮৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
এসব পাল্টাপাল্টি হামলা চলতে থাকায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা ক্রমাগতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন কিছু হলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তাতে আঞ্চলিক শক্তি ইরান ও মহা বিশ্বশক্তি যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: