ঢাকা শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

১৪ বছর পর আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ফাইনাল

এম.এ রনী | প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২১ ১৪:৩৩; আপডেট: ৭ জুলাই ২০২১ ১৬:০২

১৪ বছর পর ব্রাজিল আর্জেন্টিনা ফাইনাল।  এবারওকি মেসি আন্তর্জাতিক ট্রফি বঞ্চিত হবে? নাকি শিরোপা খরা কাটাবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১১ জুলাইয়ের ফাইনালে। এর আগে শতবর্ষী এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল আর্জেন্টিনা ১০বার।

এরমধ্যে আর্জেন্টিনা মোট ৮ বার (১৯২১, ১৯২৫, ১৯৩৭, ১৯৪৫, ১৯৪৬, ১৯৫৩, ১৯৫৭, ১৯৯১) সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। ব্রজিল ২ বার (২০০৪ এবং ২০০৭) সালে।

শেষ দুইবারের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। ২০০৪ সালে ব্রাজিল আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে ট্রাইবেকারে পরাজিত করে আর ২০০৭ সালে নির্ধারিত সময়ে ৩-০ গোলে পরাজিত করে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

 

কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা এবং কলোম্বিয়া। এই ম্যাচটার নায়ক নিঃসন্দেহে ইমিলানো মার্টিনেজ। তার হাতের বিশ্বস্ততায় আরো একবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। আরো একবার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন তৈরী হলো সুপার ষ্টার লিওনেল মেসির। শিরোপা আক্ষেপের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদন্ধী ব্রাজিল। অথচ ফাইনালের উঠার পথে কলোম্বিয়ার টপকাতে বেশ বেগই পেতে হয়েছে। শুরুটা ছিল আলবিসেলেস্তেদের ছিল দুর্দান্ত, তবে আরো একবার গোল মিসের মহরা দেখেছে ফুটবল বিশ্ব।

যার শুরুটা ম্যাচের ৪মিনিটের মধ্যে। লিওনেল মেসি থেকে পাওয়া বল জাল ছোঁয়াতে ব্যর্থ নিকোলাস গঞ্জালেজ। লিডটা পেতে খুব বেশী যে সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে তাও নয়। ম্যাচের ৭মিনিটে লাওতারো মার্টিনেজ কলোম্বিয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ করে গোল করেন। এবারও প্লেমেকার এর ভূমিকায় খুদে যাদুকর লিওনেল মেসি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তারা।

অবশ্য পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমনে যায় কলোম্বিয়ানরা। তবে গোলপোষ্টে মার্টিনেজ ভরসার প্রতিক। ৩৬মিনিটে আলবিসেলেস্তেদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল কলোম্বিয়া তবে এবার আশির্বাদ গোলপোষ্ট। বিরতিতে যাওয়ার আগে আক্ষেপ করতেই হবে নিকোলাস গঞ্জালেজকে, মেসির কর্নার থেকে পাওয়া বলে গোল করতে ব্যর্থ হন। তবে এতে কলোম্বিয়ান গোলরক্ষককে কৃতিত্ব দিতে হবে ঝাপিয়ে পড়ে গোল লাইন থেকেই তিনি গোল রক্ষা করেন।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরে কলোম্বিয়া। ৬০মিনিটে ফার্নাল্ডো ডিয়াজ দারুন এক গোল করে সমতায় ফেরান কলোম্বিয়ানদের। ৭৩ মিনিটে একেবারে সহজ সুযোগটি নষ্ট করে আর্জেন্টিনা। ডি-মারিয়া এবং মার্টিনেজ গোল পোষ্ট খালি পেয়েও পারেনি দলকে এগিয়ে নিতে। ৮১মিনিটে মেসির শট ফিরে আসে গোলপোষ্টে লেগে। ফলে সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়। অতিরিক্ত সময় না থাকায় ম্যাচ গড়ায় ট্রাইবেকারে।

এখানে প্রথম দুই শটেই নিজেদের পক্ষে গোল করেন মেসি এবং কোয়ার্তাজ। কলোম্বিয়ার সানচেজের দ্বিতীয় শট রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ এরপর ইয়ারে মিনা এবং কোয়ার্ডোর শট ফিরিয়ে দিয়ে এক মৌসুম পরেই ফাইনালে তুলেন এই গোলরক্ষক।

 

ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিল। যাদের সাথে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০০৭ সালে।

 

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top