বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক অগ্রগতি, ছুঁইছে ২০ বিলিয়ন ডলার
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩৬; আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯
প্রবাসী আয় টানা তিন মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ায় বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইতিবাচক স্থিতিতে রয়েছে, যা কিছুদিন ধরে আইএমএফ-এর মাপকাঠিতে ২০ বিলিয়নের ঘর ছুঁইছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক সঠিক সিদ্ধান্তগুলো এই অগ্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
বিআইবিএম'র সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, নতুন গভর্নরের ডলারের বাজারমুখী দর নির্ধারণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ডলারের সংকট মোকাবিলায় মাস কয়েক আগেও ডলার বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, যা বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নেয়া নতুন পদক্ষেপের ফলে রিজার্ভে ইতিবাচক গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষভাবে, ডলারের সরাসরি বিক্রি না করা এবং বাজারমুখী দর নির্ধারণের সিদ্ধান্তে রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েক মাস আগে ১৮ বিলিয়ন ডলারে নামা রিজার্ভ বর্তমানে ২০ বিলিয়নের ঘরে পৌঁছানোর পথে। দাতা সংস্থাগুলোর প্রতিশ্রুত অর্থ পেলে রিজার্ভ আরও শক্তিশালী হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল থাকায় এবং রিজার্ভ থেকে প্রয়োজন ছাড়া ডলার খরচ না করায় মজুদ ইনক্রিমেন্টাল হারে বাড়ছে। বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিশ্রুত অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে রিজার্ভের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে।
এছাড়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। আগস্ট মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি ডলার, যা অক্টোবরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯ কোটি ডলারে।
বিআইবিএম’র সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “বাজারমুখী ডলার দর নির্ধারণ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক সঠিক সিদ্ধান্তগুলো ইতোমধ্যেই অর্থনীতিতে ইতিবাচক ফল আনতে শুরু করেছে।” তাছাড়া, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এখন ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মজুদ রয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে আরও দৃঢ় করছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: