ঢাকা শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি!

ঢাকা কাস্টমসে মোখলেস সিন্ডিকেট বেপরোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৯; আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৪

মোখলেস সিন্ডিকেট

ঢাকা কাস্টমসে মোখলেস সিন্ডিকেট দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবস্থিত ঢাকা কাস্টমস হাউজ। হাউজের একটি ইউনিট যার নাম কুরিয়ার শাখা। আর এই কুরিয়ার শাখায় প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজারের বেশি পন্য ছাড়করণ করা হয়। ঢাকা কাস্টমস হাউজের বর্তমান কমিশনার যোগদানের পর থেকে কুরিয়ার ইউনিট সংস্কার করা হয়। কিন্তু এরপরও কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজসে কুরিয়ার ইউনিটে মিথ্যা ঘোষণায় কোটি কোটি টাকার পণ্য খালাস করেছেন। আর এসব পণ্য থেকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুরিয়ারে একক আধিপত্য করে চলেছে মোখলেছ নামে এক সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ী। যার নিজের কোন কোন লাইসেন্স না থাকলেও ভাড়া করা লাইসেন্স দিয়ে নিয়মিত পণ্য খালাস করে চলেছেন। এই মোখলেসের নামে ঢাকা কাস্টমস হাউসে মিথ্যা ঘোষণায় অগনিত পণ্য খালাস করা হয়েছে। আর সেসব চালানের মাধ্যমে বিভিন্ন উড়োজাহাজ তথা বিমানের নানা সামগ্রী আমদানিকারক নভোএয়ার লিমিটেড। নভোএয়ার নানা সামগ্রী আমদানি করলেও মূলত সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ী মোখলেছ কারসাজি করে ঢাকা কাস্টমস হাউসের কুরিয়ার ইউনিট দিয়ে এমন একাধিক পণ্যেও চালান খালাস করেছে। আর এতে মোখলেস রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোখলেছের নামে কাস্টমস হাউসে একাধিক মামলাও হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আমদানিকারক নভোএয়ারের একটি বিল অফ এন্ট্রি নম্বও ৫২১০৮৭। যেখানে আমদানি করা ভাল্ব দেখানো হয়েছে। কিন্তু ভাল্ব টিটিআই ৫৮ শতাংশ হারে শুল্কহার হওয়া সত্ত্বেও ৩৭ শতাংশ শুল্কহারে পণ্যের চালানটি খালাস করা হংয়। আরেকটি বিল অফ এন্ট্রি নাম্বার ৫২৮৮০৩। যেখানে একচুয়েটর আমদানিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও নির্দেশনায় রয়েছে ৫৮শতাংশ হারে শুল্কহার দিয়ে পণ্য খালাসের। তবে এখানে মাত্র ২৬ শতাংশ শুল্কবহারে পণ্যটি খালাস করা হয়। অপর আরেকটি বিল অফ এন্ট্রি নম্বর ৫৭৫৪১৬। যেখানে আবারো ভাল্ব আমদানি করা হয়েছে। এখানেও ৫৮ শতাংশ শুল্কহার হওয়ার সত্তে¦ও মাত্র ৩৭ শতাংশ শুল্কহাওে পণ্যটি খালাস করা হয়েছে। আর এতে সরকারের কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোখলেছ সাংবাদিকদের বলেন, এয়ারপোর্টে যারা কাজ করেন তারা সবাই এমনটি করেন। কেউ ধোয়া তুলসী পাতা না। আপনি নিউজ করেন আমার কিছুই হবে না। এছাড়া তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমসের একাধিক কর্মকর্তা নাম না বলার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, যে সব বিল অফ এন্ট্রিগুলোতে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে পণ্য খালাস হয়েছে সেগুলো এখনও চাইলে ফাঁকিকৃত রাজস্ব আদায় করা সম্ভব। সেজন্য কমিশনারের নির্দেশে একটি কমিটি গঠন হতে পারে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top