পাহারি ঢলে ও টানা বৃষ্টি কয়েক জেলা প্লাবিত
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৪১; আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১২
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কয়েক জেলায় লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ফেনী, নোয়াখালি, মৌলভীবাজারসহ বেশ কয়েকটি জেলার বাসিন্দারা।
ফেনীর পরশুরামের তিন ইউনিয়নের সকল গ্রাম এবং ফুলগাজী উপজেলার অধিকাংশ গ্রামই প্লাবিত হয়ে গেছে। ছাগলনাইয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলেও ঢুকেছে পানি। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক পরিবার। পরশুরাম সড়ক পানির নিচে থাকায় পুরোপুরি বন্ধ আছে যান চলাচল। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। প্লাবিত এলাকার মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে গ্রামীন রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। আখাউড়া উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয়, কাস্টমস ও বন্দর এলাকায়ও।
এদিকে, টানা বর্ষণ এবং উজানের ঢলে মৌলভীবাজারের নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মনু ও ধলাই নদের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। কমলগঞ্জে ধলাই্ নদের কয়েক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কুলাউড়ায় মনু নদের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। অতিবৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানির নিচে তলিয়েছে রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি।
নোয়াখালীর ৯ উপজেলায়ও টানা বৃষ্টিতে তলিয়েছে বসতঘর, গ্রামীন সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জেলার সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বৃষ্টির পানিতে ডুবেছে ফসলী জমি-রাস্তাঘাট। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বেড়েছে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি। সবগুলো পয়েন্টেই বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। শহরতলীর জালালাবাদ এলাকায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে ঢুকেছে পানি। তলিয়েছে রিচি ও লোকড়া ইউনিয়নের বেশকিছু মাছের ঘের ও ফসলি জমি।
অপরদিকে, খাগড়াছড়িতে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে পানি। সকাল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ঘরে ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। তবে ভোগান্তি এখনও কমেনি। দীঘিনালা থেকে সাজেক-লংগদু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। ভেঙে গেছে মহলছড়িতে একটি সেতুর সংযোগ সড়ক। এরইমধ্যে খোলা হয়েছে ৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: