নিহত রোখসানা এক মেয়ে এক ছেলের জননী। নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার আবদুল মান্নানের মেয়ে রোখসানা। তিনি নগরীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন। স্বামী দেলোয়ার হোসেন পালপাড়া এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে এবং পেশায় একজন পরিবহন শ্রমিক।
নিহতের মেয়ে স্বর্ণা জানান, বাবার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মা তাদের নিয়ে নানার বাড়ি বদরপুর-কালিয়াজুরি এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তার বাবা দেলোয়ার পালপাড়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মাঝে মধ্যে রোখসানা ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতেও রোখসানা তার স্বামী দেলোয়ারের বাড়িতে যান। তারপর থেকেই তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্বর্ণা তার মায়ের অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, তার মা পালপাড়ায় বাবার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে গেছেন, সকালে আর অফিসে আসেননি।
স্বর্ণা বলেন, ‘আমার বাবা এর আগেও মাকে মেরেছে। তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়াতেই আমরা আলাদা থাকছি। তারপরও বাবা তার বাড়িতে মাঝে মাঝে মাকে নিয়ে যেতেন। এবারও তিনি মাকে ডেকে নিয়ে গেছেন, তারপর মা লাশ হলো।’
নিহত রোখসানার ছেলে নাহিদ বলেন, ‘বোন আর খালাকে সঙ্গে নিয়ে সকালে পালপাড়ার বাড়িতে গিয়ে বাবার ঘর তালাবদ্ধ পাই। জানালা ভেঙে দেখি, মায়ের দেহ পড়ে আছে। পাশে রক্ত। পরে পুলিশকে জানাই।’
নিহতের বোন পারুল জানান, সকালে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে পালপাড়ার বাড়িতে এসে ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে জানালা খুলে দেখেন রোখসানার মরদেহ পড়ে আছে। এরপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।’
ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শরীফ রহমান জানান, মরদেহে ধারালো অস্ত্রের পাঁচটি আঘাত রয়েছে। পিঠে ও হাতের নিচে আঘাত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে রোখসানার স্বামী পলাতক। মরদেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামলা নেওয়া হবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: