ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কাকে নিষিদ্ধ করলো আইসিসি-

ক্রীড়া ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ০০:১০; আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫৪

 

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের (এসএলসি) জন্য বড় এক ধাক্কা; তাদের সদস্যপদ স্থগিত করেছে আইসিসি। আইসিসি বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের কথা শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায় বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। এসএলসি প্রশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আইসিসি বোর্ড আজ সভা করেছে এবং নিশ্চিত হয়েছে যে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সংস্থার সদস্য হিসেবে তাদের বাধ্যবাধকতাগুলোর গুরুতর লঙ্ঘন করছে। বিশেষ করে স্বায়ত্তশাসিতভাবে বোর্ডের বিষয়গুলি পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তা এবং এর প্রশাসনে কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ নেই, এসব নিশ্চিত করতে পারেনি। এই স্থগিতাদেশের শর্তগুলো যথাসময়ে জানিয়ে দেবে আইসিসি বোর্ড।”

ভারতের আহমেদাবাদে ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর আইসিসির ত্রৈমাসিক সভা হওয়ার কথা থাকলেও, এসএলসির পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসি বোর্ড শুক্রবার অনলাইনে বিশেষ সভা করে। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়, এসএলসির পরিচালনা থেকে আর্থিক-সমস্ত ক্ষেত্রে, এমনকি জাতীয় দল সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে শ্রীলঙ্কা সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল আইসিসি বোর্ড।

আইসিসি তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এসএলসিকে জানিয়েছে এবং এটাও জানিয়ে দিয়েছে যে, ২১ নভেম্বর আইসিসি বোর্ডের সভায় পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চলমান বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতায় পুরো বোর্ডকে বরখাস্ত করে গত সোমবার একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির ঘোষণা দিয়ে গেজেট জারি করেন শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রী রোশান রানাসিংহে। কমিটির প্রধান করা হয় বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে।

 

ওই গেজেট বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে এসএলসি সভাপতি শাম্মি সিলভার আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানির পর পরদিন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কার্যক্রম দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন দেশটির আপিল আদালত।

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির সংসদেও দীর্ঘ বিতর্ক হয়েছে। শুক্রবার যখন আইসিসির স্থগিতাদেশ আসে, তখন শাম্মি সিলভার নেতৃত্বে নির্বাচিত এসএলসি বোর্ডই দেশের ক্রিকেট চালাচ্ছিল।

অবশ্য সরকারের নিয়োগ দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি ক্ষমতায় থাকলেও অতীতে আইসিসি স্থগিতাদেশ দেয়নি। সবশেষ ২০১৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত যখন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তখন এসএলসিকে অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল আইসিসি। এসএলসির সদস্যদের মাধ্যমে একটি নতুন বোর্ড নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত আইসিসির তহবিলগুলো আটকে রাখা হয়েছিল। আইসিসির বোর্ড মিটিংয়েও এসএলসিকে কেবল পর্যবেক্ষকের মর্যাদায় অবনমিত করা হয়েছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে তারা আইসিসির সদস্যই রয়ে গিয়েছিল।

১৯৭৩ সালে প্রণীত শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া আইন অনুসারে দেশটির সব জাতীয় দলের অনুমোদন দিয়ে থাকেন তাদের ক্রীড়া মন্ত্রী।

গত চার বছরে দ্বিতীয় পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে সদস্যপদ স্থগিত হলো শ্রীলঙ্কার। সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সদস্যপদ স্থগিত করেছিল আইসিসি।

জিম্বাবুয়ের প্রেক্ষাপট অবশ্য ভিন্ন ছিল। সেখানে দেশের সব ক্রিকেট কার্যক্রম হুট করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে তহবিল স্থগিত করা ছাড়া আইসিসি সাবধানে পদক্ষেপ নেবে।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top